ডায়াবেটিস কোন রোগ নয়। কিন্তু যত রোগের সৃষ্টি হয় অন্যতম কারন হল এই ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস রোগকে নিরাময় করা সম্ভব নয়। এটাকে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। স্বাস্থ্যকর খাবার, উপযুক্ত ডায়েট ও জীবনধারা পরিবর্তন করে সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন কেটো ডায়েট অসাধারন ভুমিকা পালন করে।
যে কারনে কেটো কার্যকারি
কিটো খুব কম পরিমান শর্করা থাকে ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে। রাসায়নিকযুক্ত ঔষধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যে এই ধরনের খাবারে নেই। তাই অনেক সময় কিটো ডায়েটে কোন প্রকার ঔষধ সেবন করতে হয় না। কম শর্করা বা লো-কার্বোহাইড্রেট এর মধ্যে একটা হল কিটোজেনিক ডায়েট। কিটোজেনিক ডায়েট কি?
কেটো কি?
কেটো হল কম শর্করাযুক্ত বা লো-কার্বোহাইড্রেট, প্রচুর ফ্যাটযুক্ত ও প্রাটিনের সমন্বয়ের গঠিত একটি ডায়েট। শরীরের শর্করা পরিমান হ্রাস পেয়ে গেলে তখন কিটোযুক্ত খাবার ফ্যাট ভাঙ্গতে থাকে এবং শক্তি সরবরাহ করে থাকে।
এটা কিভাবে কাজ করে?
আপনি যখন দিনে ৫০ গ্রামেরও কম কার্বোহাইড্রেট খান তবে অবশেষে আপনার দেহ জ্বালানীর (ব্লাড সুগার) ফুরিয়ে যায়। এটি দ্রুত ব্যবহার করতে পারে। এটি সাধারণত ৩ থেকে ৪ দিন সময় নেয়। তারপরে আপনি শক্তির জন্য প্রোটিন এবং ফ্যাট ভাঙতে শুরু করবে। যা আপনাকে ওজন হ্রাস করতে পারে। একে কেটোসিস বলা হয়। এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে কেটোজেনিক ডায়েট হ’ল স্বল্প মেয়াদী ডায়েট যা স্বাস্থ্যগত সুবিধাগুলির অনুসরণ না করে ওজন হ্রাস করে।
কে এটি ব্যবহার করে?
লোকজন ওজন কমাতে প্রায়শই একটি কেটজেনিক ডায়েট ব্যবহার করে তবে এটি মৃগী রোগের মতো কিছু কিছু মেডিকেল পরিস্থিতিও পরিচালনা করতে সহায়তা করে। এটি হৃদরোগ, কিছু মস্তিষ্কের রোগ এবং এমনকি ব্রণযুক্ত ব্যক্তিদেরও সহায়তা করতে পারে তবে সেই ক্ষেত্রগুলিতে আরও গবেষণা হওয়া দরকার। আপনার কেটোজেনিক ডায়েট চেষ্টা করা নিরাপদ কিনা তা জানতে প্রথমে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন, বিশেষত আপনার যদি টাইপ-১ ডায়াবেটিস থাকে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে কেটো
কম শর্করাযুক্ত ডায়েটগুলি আপনার রক্তে শর্করাকে কম রাখে। ডায়েটের চেয়ে বেশি অনুমানযোগ্য বলে মনে হয়। কিন্তু যখন আপনার শরীর শক্তির জন্য ফ্যাট গলতে শুরু করে। তখন এটি কেটোনেস নামে যৌগ তৈরি করে। ডায়াবেটিস হয়, বিশেষত টাইপ-১, আপনার রক্তে অনেকগুলি কেটোন আপনাকে অসুস্থ করতে পারে। সুতরাং আপনার ডায়েটের যে কোনও পরিবর্তন সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে কাজ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
কেটো ডায়েটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
কেটো ডায়েটের কিছু ক্ষনস্থায়ী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। প্রথমে এই ডায়েট করতে অসুবিধার মধ্যে ঘনঘন তৃষ্ণা হবে, ঘনঘন মূত্রের চাপ দিবে। ডায়াবেটিস ডায়েটে এটা একটা ক্ষনস্থায়ী সমস্যা। তবে কয়েকদিন মধ্যে এই ডায়েটে অভ্যাস হয়ে গেলে এই সমস্যা থেকে মুক্ত করতে পারবেন। এছাড়াও কেটোজেনিক ডায়েট এপিলেপসি, ওজন হ্রাস, স্নায়ু ইত্যাদি বিষয়ে সাহায্য করে থাকে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন কেটো ডায়েট কোন দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে না।
উপসংখ্যার
কিটোজেনিক ডায়েট একটি স্বল্পমেয়াদি ডায়েট হওয়ার কারনে এটা দ্রুত ওজন হ্রাস করে, স্নায়ুর উদ্দীপনা সৃষ্টি করে ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করে থাকে। অনেকের ভুল ধারনা থাকে যে, কেটো ব্যবহার করলে দ্রুত মোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এইটা ভুল ধারন। কেটো ব্যবহার করলে অতিরিক্ত চর্বি হ্রাস করে থাকে।
Discussion about this post