প্রাচীনকাল থেকে জাপানের রমনীরা রাইস ওয়াটার এবং রাইস ফেসপ্যাক ব্যবহার করে। এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করার কারনে অন্যান দেশের রমনীদের চেয়ে তাদের ত্বক অনেক সুন্দর। এখন প্রশ্ন হতেই পারে রাইস ওয়াটার কি? রাইস ওয়াটার হল চালের পানি। রাইসে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টিক্সিডেন্ট, ইনফ্লামেটরি ইত্যাদি উপাদান রয়েছে।
ত্বকের যত্নে রাইস ওয়াটার গুরত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা?
১,০০০ বছর আগে থেকে জাপানের রমনীরা ত্বকের যত্নে রাইস ওয়াটার ব্যবহার করছে। প্রাকৃতিকভাবে চুল বা ত্বকের যত্নে এই ওয়াটার দারুন উপকার করে থাকে। যা ঘরে বসেই যত্নের রেসিপি বানাতে পারবেন। রাইস ওয়াটার কি? কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় এই আলোচনার মাঝে দেয়া আছে। এখানে আমরা ত্বকের যত্নে রাইস ওয়াটার কি ভূমিকা পালন করতে পারে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। ত্বকের পাশাপাশি, রাইস ওয়াটার চুলের যত্নে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিশ্বে চালের পানি মা মাড়ের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন চালের পানি না মাড় অনেক জনপ্রিয় একটা উপায় ত্বকে ফর্সা করা, মুখে কালো দাগ দূর করা ইত্যাদি।
রাইস ওয়াটার প্রস্তুত প্রনালী
এই ট্রিট্মেন্ট করার জন্য কিভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়ে। কিভাবে রাইস ওয়াটার প্রস্তুত করা হয়?
ত্বকের যত্নে রাইস ওয়াটার
ত্বকের বা স্কিনের যত্নে নানাবিধ কাজ করে থাকে এই রাইস ওয়াটার। আমাদের স্কিনের যে সকল সম্ভাব্য কাজ করে থাকে তাদের নিয়ে আলোচনা করব। সব ফলাফল পরিক্ষিত নয়। কিছু ঘবেষনা আছে।
ত্বক ফর্সা করতে
ত্বক ফর্সা করতে এই পানি ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে অনেক কোম্পানি এই ধরনের পন্য তৈরির প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বিভিন্ন ধরনের সাবান, টুনার এবং ক্রিমের মাধ্যমে এই রাইস ওয়াটার মার্কেটিং করছে। ত্বকে কালো দাগ থাকলে এই পানির গুরুত্ব অসাধারন। চাল মিশানো পানিতে যথেষ্ঠ পরিমান অ্যান্টিক্সিডেন্ট থাকে। এই সকল অ্যান্টিক্সিডেন্ট ত্বকের কালো মানে মরা কোষকে কিছুটা প্রতিরোধ করে থাকে। সবচেয়ে বেশি উপকার হয় যে সকল ফ্রি-রেডিক্যাল মৃত্যুর দিকে যাচ্ছে। মৃত্যুর দিকে ধাবিত কোষ গুলোকে রক্ষা করে। ফলে, ত্বকে দিনে দিনে কালো দাগের সংখ্যা কমতে থাকে। ত্বকের যত্নে রাইস ওয়াটার দারুন ভুমিকা পালন করে থাকে।
শুষ্ক ত্বকের যত্নে
ত্বক শুষ্ক হয়ে এক সময় ফেটে যায়। ফেটে গিয়ে রক্ত বের হতে পারে। সোডিয়ামের লোয়েল সালফেটের কারনে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এই সোডিয়ামকে শেষ করতে পারলে ত্বকের মধ্যে জলীয় আয়নের এবং শরীরের মধ্যে সাম্যবস্থা বিরাজ করে। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
শেষ কথা আমাদের পক্ষ থেকে
রোদের মধ্যে ঘুরাঘুরির কারনে ত্বক শুষ্ক , রুক্ষ এবং শরীরে কোলাজেনের পরিমান কমে যেতে থাকে। ফলে আমাদের ত্বকের কোষ ধ্বংস হতে শুরু করে। এই Research থেকে জানা যায় যে, রাইস ওয়াটারের ২য় পদ্ধতি ব্যবহার করে মানে গাজন করে ব্যবহার করলে ত্বকের সজিবতা ফিরে আসে। রাইসে আছে বিভিন্ন কোলাজেন বৃদ্ধিকারি উপাদান। শুধু তাই না, বয়স্ককের ছাপ পড়লে সেটাও ধীরে ধীরে নিরাময় হতে থাকে। মুখে টুনার হিসাবে ব্যবহার করতে চাইলে প্রথম পদ্ধতি মানে Soaking Rice Water ব্যবহার করতে হবে।
বিঃদ্রঃ- কোন বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে অথবা ফ্রি পরামর্শ নিতে নিতে কমেন্টস বক্সে আমাদের পাঠাতে পারেন। ২/৩ দিনের মধ্যে সেই বিষয়ে অভিক্ষ কেউ উত্তর দিবেন।
-সেলিনা আকতার
Discussion about this post