মানুষের সবচেয়ে বড় অঙ্গের নাম ত্বক। শরীরের প্রায় সবটুকু জুড়ে রয়েছে ত্বকের এই অংশ। ত্বকের এই অংশটা বাইরের পরিবেশের সাথে জলের ও অন্যান্য উপাদানের মধ্যে ভারসাম্য বজার রাখে।মানুষের বাইরের আবরনের নাম ত্বক। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ত্বকে অঙ্গ বলা হয়। ত্বকের বাইরের অংশে নানা ধরনের ছিদ্র বিদ্যমান থাকে। এই ছিদ্রের মাধ্যমে বাইরে জলের কিছু অংশ ঘাম হিসাবে বের হয়ে যায়। স্থান-কাল পাত্রভেদে একেক জনের ত্বক, একেক ধরনের হয়ে থাকে। কারো ত্বক মসৃনবিশিষ্ঠ, কারো সাদা, কারো কালো। পুরুষ ও নারীর ত্বকের মধ্যে প্রার্থক্য রয়েছে। পুরুষের ত্বকের চেয়ে নারীর ত্বক অনেক মসৃন ও নরম প্রকৃতির হয়ে থাকে। নারীদের ত্বকে লিপিড বা চর্বির পরিমান তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি থাকে। মৌমাছি চাকের মত মানুষের ত্বকে রয়েছে অনেক ছিদ্র। সাধারনত এই ছিদ্র পথেই পরিবেশের সাথে ভারসাম্য বজায় রাখে। অনেক সময় এই ছিদ্র মুখে ধুলাবালি জমা হয়ে ফুলে যায়। একেই ব্রন বলা হয়।
ত্বকের স্তর
তিন ধরনের ত্বক রয়েছে মানব শরীরে। বাইরের ও ভিতরে ছাড়াও আরো একটি স্তর রয়েছে আমাদের দেহে। বাইরের স্তরকে বলা হয় এপিডার্মিস স্তর। এই স্তরটি খালি চোখে দেখা যায় না। এই স্তরের মাধ্যমে বাইরে ঘাম, তৈলাক্ত ইত্যাদি বের হয়ে যায়। ডার্মিস স্তরে থাকে দেহের ভিতরে অংশ। শিরা, ধমী, স্নায়ু, ঘামগ্রন্থী, তৈল গ্রন্থী থাকে। ত্বকের এই অংশ আমরা খালি চোখে দেখতে পায় না। হাইপো-ডার্মিস স্তর যা এপিডার্মিস ও ডার্মিস ত্বকের মাঝখানে অবস্থিত। এই স্তর গুলোর পরিচর্চা করতে পারলে স্বাস্থ্যকর ত্বক ধরে রাখা সম্ভব। এই ত্বক কি ধরনের কাজ করে?
ত্বকের কাজ
- ত্বক ঘাম নিঃসরন করে দেহের ভিতরে রোগ-জীবানু বের করে দেয়।
- বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করে থাকে ভিতরের নরম অঙ্গকে
- তেলগ্রন্থী থেকে তেল নিঃসরন করে থাকে।
- ত্বকে মসৃন রাখতে সহায়তা দান করে থাকে।
- দেহে বিভিন্ন ধরনের আয়নের ভারসাম্য রক্ষা করে থাকে।
ত্বক সুন্দর ও সুস্থ রাখতে হলে বাজারের কেমিক্যালমুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে। সাধারন পানি দিয়ে বারবার ধৌত করতে হবে। ক্ষার ও এসিড জাতীয় পদার্থ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। তবেই স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখা সম্ভব।
Discussion about this post