কাউনের চালে নান ধরনের রেসিপি তৈরি করা যায়। সাধারন চালের মত কাউনের চাল দিয়ে, পোলাও, বিরিয়ানী, সাদা ভাত, ভূনা খিচুরি, পায়েশ, বিভিন্ন ধরনের বেকারিতে কাউনের চাল ব্যবহার করা যায়। কাউনের চালের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জেনেছি। কাউনের চাল একটা আঁশযুক্ত খাবার যা আমাদের শরীরে ধীরে ধীরে হজম হতে থাকে। ধীরে ধীরে হজম হওয়ার কারনে আমাদের শরীরে ঘনঘন খুদা লাগার সম্ভাবনাকে লাঘব করতে থাকে। তাই ডায়াবেটিক রোগীর জন্য কাউনের চালের রেসিপি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নিচে কিভাবে কাউনের চালের রেসিপি তৈরি করা হয় ডায়াবেটিক রোগীর জন্য। সেই বিষয় নিয়ে কিছু আলোচনা করব।
কাউনের চালের ডোসা বা চাপড়াঃ
কাউনের চালের রেসিপির মধ্যে ডোসা ডায়াবেটিক রোগীর জন্য খুবই ভাল । ডোসা শব্দটা ইন্ডিয়া থেকে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে এই ডোসাকে চাপড়া বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে সাধারন গমের তৈরি ডোসা বানিয়ে থাকেন। ঠিক একইভাবে, কাউনের চাল দিয়ে ডোসা বানিয়ে ডায়াবেটিক রোগীকে খাওয়ালে একদিকে যেমন রোগীর শরীরে শক্তি পাবে। অন্যদিকে তেমনি রক্তে সুগারের নিয়ন্ত্রন করতে কাউনের চালের রেসিপি ডোসা দারুন কাজে দেয়।
একটা গবেষনা থেকে জানা যায় যে, সাধারন চালের ৩ টা ডোসা বা চাপড়া এর সাথে কাউনের চালের ১ ডোসা বা চাপড়ার তুলনা করা হয়। এতে দেখা যায় যে, সাধারন চালের তুলনায়, কাউনে চালে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। এক স্টাডি করা হয়েছিল, সকালে নাস্তায় কাউনের চালে এবং সাধারন চালের মধ্যে কে কতটুকু উপকার নিয়ে আসতে পারে ডায়াবেটিক রোগীর জন্য। যেহেতু, কাউন চালের রেসিপি ফাইবারযুক্ত, নন-স্টার্চি পলিস্যাকারাইড। এই কারনে এটা গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স খুব কম হওয়ার কারনে ডায়াবেটিম রোগীর ডায়াট প্লানে কাউনের চাল খুব উপকারি।
উক্ত গবেষনা থেকে জানা যায় যে, সাধারন চালে গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স শতকরা ৭৭% এবং কাউনের চালে ৫৯% গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স থাকার কারনে কাউনের চালকে উত্তম খাবার বা সুপারফুড বলা হয় ডায়াবেটিক রোগীর জন্য।
টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীর জন্য এই ডোসা বা চাপড়া খুবই উপকারি। খাওয়ার পর আমাদের রক্তে সুপারের পরিমান অনেকটা বেড়ে যায় সাধারন চালের চাপড়ার। এই ক্ষেত্রে যারা চাপড়া আসলেই পছন্দ করেন তাদের উচিত হবে সাধারন চালের পরিবর্তে কাউন চালের রেসিপি চাপড়া খাওয়া।
ব্যাখ্যা এবং উপসংহার:
টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীর রক্তে সুপারের পরিমান ঠিক রাখতে এবং দেহে উপযুক্ত শক্তি যোগান দিতে কাউনের চালের চাপড়া অসাধারন ভুমিকা পালন করে থাকে। হাইপার-গ্লাইসেমিয়া নিয়ন্ত্রনে কাউনের চাল ভাল ভুমিকা পালন করে থাকে। এই জন্য সবেচেয় যেটা বেশি দরকার সেটা হলো-কাউনের চালের চাপড়া খাওয়া। অনেকের মধ্যে একটা ভুল ধারনা আছে যে, সাধারন চালের চাপড়াও ডায়াবেটিক চিকিৎসায় ভাল খাবার। এটার থেকে কাউনের চালের চাপড়া শরীরে ভাল শক্তি দিয়ে থাকে।
কিভাবে কাউন চালের রেসিপি তৈরি করা হয় ডায়াবেটিক রোগীর জন্য? এই বিষয়ে জানতে লক্ষ রাখুন আমাদের মনসাজাই ওয়েবসাইটে।
Discussion about this post