স্বাভাবিক ত্বকের চেয়ে ত্বক খসখসে হয়ে গেলে বা ত্বক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেললে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এই ধরনের ত্বকে শুষ্ক ত্বক বলা হয়ে থাকে। ত্বক এই ধরনের হলে চুলকানি, ঘা হয়ে যায় এবং ত্বকে মেছতা বা বয়সের ছাপ পড়তে থাকে। ফলে ত্বকে বলিরখা দেখা দেয়। বয়সের ছাপ থেকে বাঁচতে ত্বককে স্বাভাবিক রাখা দরকার।
শুষ্ক ত্বক, যাকে জেরোসিসও বলা হয়, এমন ত্বক যা এর বাইরের স্তরের আর্দ্রতার অভাব হয়। যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে শুষ্ক ত্বক ক্র্যাক হয়ে সংক্রামিত হতে পারে। শুষ্ক ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখা গুরুত্বপূর্ণ, তবে কিছু স্টোর-কেনা চিকিৎসা ব্যয়বহুল বা অকার্যকর হতে পারে। এই পোস্টের মাধ্যমে জানানোর চেস্টা করব কিভাবে ঘরোয়াভাবে ত্বকের যত্ন নেয়া যায়।
সূর্যমুখী বীজের তেল
২০১৩ সালের একটা গবেষনা থেকে জানা যায় যে, সূর্যমুখী বীজের তেল হাইড্রেট বজায় রাখে যখন ময়েশ্চাইজার হিসাবে ব্যবহার করা হয়। একই সমীক্ষায় দেখা গেছে যে জলপাই তেল আসলে ত্বকের বাধার ক্ষতি করে, প্রস্তাবিত যে সমস্ত প্রাকৃতিক তেল ময়েশ্চারাইজার হিসাবে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত নয়।
নারিকেলের তেল
শুষ্ক ত্বকের অন্যতম একটি প্রাকৃতিক উপাদান হল নারিকেলের তেল। ২০১৪ সালের একটি গবেষনা থেকে জানা যায় যে, শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসায় পেট্রলিয়ামের মত নারিকেলের তেলও নিরাপদ এবং কার্যকর। এটি ত্বকের হাইড্রেশনকে উন্নতি করতে সাহায্য করে। হাইড্রেশনে উন্নতি ত্বকের উপরের পৃষ্টে লিপিড শুষ্ক ত্বককে স্বাভাবিক রাখে।
অপর একটি রিসার্চ থেকে জানা যায় যে, নারিকেল তেলে সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড থাকে। ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে, এটিকে মসৃণ করে তোলে।
গোসলের সময় ওটমিল
শুষ্ক ত্বকের প্রাকৃতিক উপাদান ওটমিল। ওট্মিল শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। গোসলের সময় গুঁড়া ওট্মিল যোগ করলে বা ওট্মিলের ক্রিম যোগ করলে স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। ২০১৫ সালের একটা গবেষনা থেকে জানা যায় যে, ওট্মিলে অ্যান্টি-ইনফ্লোমেটরী ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। এই উপাদান ত্বক শুষ্ক চিকিৎসায় সহায়তা করে থাকে।
দুধ পান
দুধ শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায় তবে সেটা ত্বকে লাগিয়ে না। ২০১৫ সালের একটা গবেষনা থেকে জানা যায় যে, দুধ পানে শুষ্ক ত্বককে স্বাভাবিক রাখতে এই খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। দুধে ফসফোলিপিড এবং চর্বি থাকে ফলে ত্বক শুষ্ক থেকে স্বাভাবিক রাখে।
মধু
মধুর উপকারিতা এবং গুনাবলি অনেক। বিভিন্ন ধরনের ত্বকের যত্নে মধু অনেক উপকারিতা নিয়ে আসে। ২০১২ সালের একটা রিসার্চ থেকে মধুর উপকারি দিক জানা যায়। ময়েশ্চারাইজিং, আরোগ্য ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরী। শুষ্ক ত্বক থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য মধু একটি আদর্শ প্রাকৃতিক উপাদান।
অ্যালোভেরা
শুষ্ক ত্বক থেকে রেহাই পাওয়ার অন্যতম একটি উপাদান অ্যালোভেরা। হাতে ও পায়ে খসখসে ভাব দেখা দিলে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। এই তথ্য পাওয়া যায় ২০০৩ সালের একটা রিসার্চ থেকে। অ্যালোভেরা পায়ে, হাতে এবং ত্বকের যেকোন অংশে ব্যবহার করতে পারবেন।
সারাংশ
শুষ্ক ত্বকের ৬টি উপায় আলোচনা করা হয়েছে। এই সকল উপায় সবার জন্য এক রকম ফলাফল নাও দিতে পারে। ব্যক্তি বিশেষে একেক জনের একেক রকম প্রভাব দেখা দিতে পারে।
Discussion about this post