দেহের কোন একটা অঙ্গের সমস্যা হলে ধীরে ধীরে বাকি অঙ্গের কাজে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এই সমস্যা একদিনে তৈরি হয় না। পেট ফুলে উঠা, ব্যথা করা ইত্যাদি এসিডির লক্ষন। এই সকল লক্ষন কোন মানবদেহে দেখা দিলে সাধারন এসিডিটি বলা হয়ে থাকে। পরবর্তি সময়ে এই অবস্থাকে গুরুত্ব সহকারে না নিলে ধীরে ধীরে শরীরে এসিডির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে ফলে পাকস্থলীর গাঁয়ে ঘা হয়ে যায়। ঘা হয়ে যাওয়ার প্রাথমিক অ্যালসারের কারন।
এসিডিটি ও অ্যালসারের কারন
এসিডিটি ও অ্যালসারের মধ্যে একটা সম্পর্ক বিদ্যমান। পাকস্থলীত থেকে হাইড্রোক্লোরাইড গ্যাস নির্গত হয়। আমাদের দেহে যখন খাবারের প্রয়োজন হয় তখন পাকস্থলী থেকে হাইড্রোক্লোরাইড এসিড নির্গত হয়। খাবারের সাথে জীবানু থাকলে সেগুলোকে মেরে ফেলে এবং খাদ্যকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলে। চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেলে খাবার থেকে সহজেই মনো-স্যাকারাইড নিঃসৃত হয়।
সঠিক সময়ে খাবার গ্রহন না করলে পেট ব্যথা করতে থাকে। এসিডের পরিমান বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এসিডের পরিমান বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে আমাদের এন্টাসিড খেতে হয়।
এন্টাসিড কিভাবে কাজ করে?
পাকস্থলীতে গ্যাসের পরিমান বেড়ে গেলে পেট ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য এন্টাসিড খাওয়া হয়। পেটে যে হাইড্রোক্লোরাইড এসিড তৈরি হচ্ছে সেটাকে নিরপেক্ষ করে দেয় এন্টাসিড। এন্টাসিড তৈরি হয় অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড, ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রক্সাইড থেকে। যখন পেটের ব্যথায় এন্টাসিড খাওয়া হয় তখন নিন্ম বিক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হয়।
HCl + Al(OH)3 › AlCl3 + H2O
এন্টাসিড ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড থেকে প্রস্তুত করা হয় ফলে পেটে অতিরিক্ত হাইড্রক্লোরাইড এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবন ও পানি উৎপন্ন করে থাকে। এসিড ও এন্টাসিডের বিক্রিয়ার নিরপেক্ষ হয়ে যায়। পেট ব্যথা, ফুলা থেকে রক্ষা করে থাকে। রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে এসিডিটি মুক্ত করা হয়।
এই কারনে ৪ ঘন্টা পর পর কিছু হলেও খাওয়া উচিত। খাবার খাওয়ার দরকার হলে যদি হাতের পাশে কোন খাবার না পান তাহলে এক গ্লাস পানি পান করবেন। এতে পাকস্থলীতে উৎপন্ন হাইড্রোক্লোরাইড এসিড লঘু হয়ে যায়।
অ্যালসার হল পাকস্থলীতে ঘা হয়ে যাওয়া। এই সাধারন সমস্যা সৃষ্টি হয় না খেয়ে থাকার কারনে। জিবনের কিছু সময় ধরে যদি না খেয়ে থাকা হয় তাহলে যে হাইড্রোক্লোরাইড এসিড উৎপন্ন হচ্ছে সেটা ব্যবহার হয় না। পেটে মধ্যে জমা হয়ে পাকস্থলীর গাঁয়ে ঘায়ের সৃষ্টি হয়। তখন একে অ্যালসার বলে অভিহিত করা হয়। এই সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে এই গবেষনা থেকে জানতে পারবেন।
সারমর্ম
এসিডিটি ও অ্যালসার উভয়ই সৃষ্টি হয় জীবনধারার উপর। প্রথমে এসিডিটি হবে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকলে এক সময়ে অ্যালসার হতে পারে। তাই কিছু খাওয়ার দরকার হলে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হতে। তাতে এসিডিটি ও অ্যালসার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
Discussion about this post