শিশুর বিকাশ শুরু হয় জীবনের প্রথম দিন থেকে। শৈশবে শিশুর পরিবেশ থেকে যে শিক্ষা গ্রহন করে থাকে তার ৬ মাসের মধ্যে মতিষ্কের গঠন শুরু হয়ে যায়। শিশুর ৮ বছরের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষিক বিকাশ হয়ে যায়। প্রথমেই পরিবারের শিক্ষা আসে পরিবার থেকে। এই বয়সের মধ্যে শিশু তার চারপাশে সামাজিক যোগাযোগ, বুদ্ধি, আবেগ গঠন হয়ে যায়।
শিশুকে উৎসাহ প্রদান করা
একটা শিশুর জীবনের শুরুতে উৎসাহ দিয়ে তাদের জ্ঞানের বিকাশ করা সম্ভব। অনেক সময় আমরা সেই কাজ করতে ব্যর্থ হয়ে থাকি। আমাদের সমাজে ভালো কিছু চিন্তা করলে কারো মাথায় সেটা না থাকলে শিশুরা উৎসাহ পায় না। উৎসাহ না পাওয়ার কারনে শিশুরা ছোট থেকেই উৎসাহ হারিয়ে নিজের সুপ্ত প্রতিভা জাগিয়ে তুলতে পারে না। এই কারনে শিশুদের মানুষিক বিকাশে উৎসাহ প্রদান করতে হবে।
বাবা-মায়ের সর্তকতাঃ
বাবা মায়ের সর্তক থাকতে হবে তার শিশু পরিবেশের কোন কোন শিশুর সাথে মেলামেশা করছে। এই কারনে বাবা মাকে যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে। সর্তকার অভাবের কারনে একটা শিশুর মানুষিক বিকাশের পরিবর্তে নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া বাংলাদেশে একটা শিশুর মানুষিক বিকাশ করতে
ছবি আঁকানো
শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার থেকে শুরু হলেও ধীরে ধীরে সেটাকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে ছবি আঁকানোর দিকে মনযোগী করতে হবে। ছবির আঁকানোর মাধ্যমে শিশু চিন্তা করতে শেখে। ছবি ড্র করার সময় তার ভিতরে মনযোগী সৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে নানা সমস্যা সমাধান করার কৌশল আয়ত্ব করে থাকে। শিশুকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে ছবি আঁকানোর দিকে মনযোগী হতে হবে।
পরিবেশের প্রভাবঃ
শিশুর বিকাশ সৃষ্টি বা বৃদ্ধি করার জন্য পরিবেশের গুরুত্ব অপরিসীম। বাবা মায়ের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহনের পর পরিবেশ থেকে শিশুর বিকাশ বৃদ্ধি শুরু হয়ে থাকে। এই কারনে উপযুক্ত পরিবেশ দিয়ে শিশুকে বড় করতে পারলে শিশুর বিকাশ অনেক গুন বৃদ্ধি পায়।
শিশুকে গল্পের বই পড়তে উৎসাহিত করতে হবে
অনেক আগে শিশুরা দাদা-দাদী, বাবা মায়ের কাছ থেকে অনেক গল্প শুনতে পছন্দ করতো। সময়ের সাথে সাথে সেই অভ্যাস বা পদ্ধতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ভাষাগত দিক বিবেচনা ও পরিবেশের কথা চিন্তা করে বাবা মায়ের উচিত হবে শিশুকে বই দেয়া। একটা শিশুর বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি পাবে যদি শিশুকে বই পড়ার প্রতি তাগিদ দিতে হবে। বিভিন্ন ধরনের বইয়ের মধ্যে গল্পের বই দিয়ে শুরু করলে শিশু পড়ার মধ্যে আনন্দ খোঁজে পাবে। শিশুর হাতে মোবাইল ফোন না দিয়ে বই তুলে দিলে জ্ঞানের বিকাশ ঘটানো সম্ভব।
সবার মনে রাখা উচিত একটা শিশুকে যেভাবে গড়ে তোলা হবে সেই শিশু তেমনভাবে বড় হয়ে উঠবো। পরিবারের রুচির উপর এবং কৌশলের উপর ভিত্তি করে শিশুর বিকাশ বৃদ্ধি হয়ে থাকে।
খেলাধুলা
একটা শিশুর খেলাধূলা করা জরুরী। শিশুকে বই পড়া, ভালো পরিবেশ দেয়ার পাশাপাশি তাকে উপযুক্ত পরিবেশ দিতে হবে খেলাধুলার জন্য। প্রতিদিন একটা নিদিষ্ট সময়ের পরে বিকাল বেলা তাকে সুন্দর পরিবেশে খেলাধুলার সুযোগ দিতে হবে। পরিবেশ বলতে খেলাধূলার বন্ধুরা সুন্দর পরিবেশ থেকে উঠে এসেছে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
একটা শিশুর বিকাশ বৃদ্ধির যে ৬ টি উপায় বলা হয়েছে সেগুলো ছাড়াও অনেক উপায় রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে উপযুক্ত জ্ঞানে তৈরি করা যায় শিশুকে। এদের বিকাশ প্রাথমিক অবস্থায় বাবা মায়ের উপর ৩ বছর নির্ভরশীল হলেও ধীরে ধীরে পরিবেশের দিকে ধাবিত হয়। পরিবেশ থেকে ভালো বা খারাপ উভয়ের ধরনের জ্ঞান আরোহন করে থাকে। এই কারনে শিশু বয়সে উপযুক্ত পরিবেশ ও শিক্ষা দেয়া অনেক চ্যালেঞ্জ হয়ে যায় বাবা মায়ের।
Discussion about this post