দুনিয়ায় যত শিশুর আগমন হয়েছে তাদের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়েছে পরিবার থেকে। পরিবার থেকে শিশুকে সব ধরনের শিক্ষা দেয়া হয়। ছোটবেলায় শিশুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিবাহিত করে থাকে। বাবা-মা শিশুকে নিয়ে অনেক ঝামেলা সামাল দিয়ে থাকে। অনেকে আবার ক্লান্ত হয়ে যায়। এই সকল কিছু থেকে শিশুকে রক্ষা করতে একটা মোবাইল দিয়ে বসালে দিলে অনেক সময় বাবা-মাকে শিশু বিরক্ত করে না। কিছু সময়ের শিশুর মনযোগ মোবাইল ডিভাইসের প্রতি থাকে।
শিশুকে মোবাইল ডিভাইস দেয়ার কুফলঃ
১। শিশুদের চোখ অনেক সেনসিটিভ হয়ে থাকে। দীর্ঘ সময় মোবাইলে থাকার কারনে অল্প বয়স শিশুর চোখের সমস্যা হতে পারে। খাবারের মান ভালো থাকলে এবং ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খাওয়ালে কিছুটা প্রতিরোধ করে থাকে।
২। শিশুর মানুষিক বিকাশে ব্যাঘাত হয়ে থাকে। অনলাইনে বা মোবাইলে একটা জিনিস দেখার কারনে সে অলস প্রকৃতির হয়ে থাকে।
৩। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিজের শিশুর হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেয়া মানে তাদের হাতে মদের বোতল বা কোকেন তুলে দেয়া। নেশা দ্রবের মতো মোবাইল ফোন শিশুর জীবনে দারুন নেশার কারন হতে পারে। যার কারনে নিজের শিশুকে নষ্টের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া।
৪। অনলাইনে যেমন অনেক গান, কবিতা ও ছড়া দিয়ে শিশুদের যেমন শিক্ষার আলো নিয়ে আসা যায় তেমনি এই স্মার্টফোন দিয়ে একটা শিশুর জীবন নষ্টের শেষপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া যায়।
৫। শিশুকে ইউটিউব বা অনলাইনের বিভিন্ন চ্যানেল থেকে কার্টুন বা মজার মজার ভিডিও দেখার কারনে শান্ত থাকে। এক সময় এই শান্ত থাকা শিশু অশান্তির কারন হয়ে যায়। শিশুরা যখন একটা বিষয় মনযোগ দিয়ে শ্রবন করে সেটা তাদের মতিষ্কে দীর্ঘ সময় বিরাজমান থাকে। মাথায় স্থায়ী হয়ে যায় চিন্তা চেতনা। দি পাওয়ার অফ হেবিটের কারনে এক সময় আর সেই রাস্তা থেকে বের হয়ে পড়াশোনায় মননিবেশ করতে পারে না।
৬। কম বয়সে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে
৭। দেশে ৫-১০ বছর শিশুদের মধ্যে মোবাইলে গেম খেলার প্রতি আসক্ত। বাংলাদেশসহ আমাদের পাশের দেশে ভারতে মোবাইলে গেম খেলে মৃত্যুবরনের অনেক খবর শুনা গেছে। এতে করে শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কুফলের কিছু উদাহরন দেখেছি।
প্রযুক্তির এই সকল ডিভাইস যেমন ইন্টারনেট থেকে, মোবাইল ফোন থেকে শিশুদের অনেক দূরে রাখা উচিত। প্রযুক্তির যেমন অনেক সুবিধা রয়েছে তেমনি রয়েছে ব্যবহার করার কিছু সর্তকতা যার কারনে নিজের আদরের সোনামনির হাতে মোবাইল তুলে দেয়ার আগে চিন্তা করবেন। নিজদের সুবিধার জন্য শিশুকে খারাপ পথে ঠেলে দিবেন না। একদিন না একদিন সেই কুফল আপনার পরিবার, সমাজ এবং আদরের সন্তানের উপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। তখন নিজের ভুল বুঝতে পারলেও সংশোধন করার কোন উপায় থাকবে না।
Discussion about this post