কৈশোর ও যৌবনের একটা অনাকাঙ্খিত সমস্যার নাম ব্রন। ১৩ থেকে ১৮ বছরের সকল তরুন-তরুনীর মধ্যে ব্রনের সমস্যা প্রকট আকারে দেখা যায়। ২০-৩০ বছর বয়সেও মহিলা ও পুরুষের মধ্যেও ব্রনের সমস্যা দেখা যায়। এ যাবতকাল ব্রন চিকিৎসায় ফোটন থেরাপি, এন্টিবায়োটিক ক্রিম, ভিটামিন, হরমোন থেরাপি কার্যকর ছিল। যে কোন টাইপের ব্রন যেমন মুখখোলা, বন্ধ, প্রদাহযুক্ত, পুঁজযুক্ত, এমনকি সিস্ট আকৃতির এই থেরাপি কার্যকর। তবে মাইক্রোডামাব্রেশান ব্রনের চিকিৎসায় অধিক কার্যকারি। নিচের ব্রন চিকিৎসায় ফোটন থেরাপি নিয়ে কিছ্য পয়েন্ট দেয়া হলঃ
ব্রন চিকিৎসায় ফোটন থেরাপি অনুসরন করুন
- ব্রনের কারনে ইনফেকশন, ফোলা ভাব, জ্বর আছে?
- ফুসফুড়ি গুলো অনেক বড় বা বেশি?
- নিজের পরিচর্চায় অবস্থানের অবনতি হচ্ছে? নিজে পরিচর্চার কৌশল
- সবচেয়ে বড় চিকিৎসক সেবা নিলেও নিজে সচেতন হন এবং নিজেই পরিচর্চা বেশি করুন-
- ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখবেন। সাবান সামান্য সময় রেখে পরিস্কার কাপড়ে ত্বক পরিস্কার করবেন।
- ভাল অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট বা গ্রীজ পরিস্কার কাপড়ে ত্বক পরিস্কার করবেন।
- ভালো ত্বকে অত্যাচার করবেন না।চাপাচাপি, খোঁটাখুঁটি, চুলকানো ইত্যাদি বিষয়ে এড়িয়ে চলা উচিত। এই সমস্যা থাকলে এখননি পরিত্যাগ করুন। এ সকলে কারনে ইনফেকশন হতে পারে। এমন দাগ পড়ে যা সহজে সারে না। তাই ত্বকের উপর অত্যাচার করবেন না।
- অ্যালার্জি না থাকলে বেনজাইল পার-অক্সাইড লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
- মুখে বা অন্য কোথাও ঘাম হলে দ্রুত পরিস্কার করুন।
- ৭ দিনে অন্তত দুইবার চুল ধোবেন এবং চুল মুখ থেকে দূরে রাখবেন।
- আঠালো, তৈলাক্ত ক্রিম, লোশন বা মেকআপ বাদ দিয়ে শুধু জল দ্বারা বেসড মেকআপ ব্যবহার করুন।
জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে ত্বকের চিকিৎসা করানো অনেক সহজ হয়ে থাকে। আপনে যদি ভাল বা সবচেয়ে অভিক্ষ চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। তবে খুব ভাল। তার চেয়ে বেশি ভাল যখন আপনে আপনার নিজের ত্বকের যত্ন নিবেন। যত ভাল চিকিৎসক দিয়েই চিকিৎসা করুন না কেন? নিজের যত্নের দিকে বেশি খেয়াল দিতে হবে।তবেই আপনার ত্বক থাকবে সুন্দর ও প্রাকৃতিক। স্বাস্থ্যকর ত্বক, সুন্দর জীবন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ব্যায়াম করুন, সুন্দর পরিবেশে থাকুন। পর্যাপ্ত পরিমান জল পান করবেন । দামী প্রসাধনী বা কেমিক্যাক থেকে নিজের ত্বকে দূরে রাখবেন। তবে আপনার ত্বক থাকবে প্রাকৃতিক।
Discussion about this post