পেয়ারা খায় না বা খান নি এমন লোক খুজে পাওয়া দুস্কর। সবচেয়ে সহজলভ্য সস্তা দেশি ফলের একটি হচ্ছে পেয়ারা। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পেয়ারা সবারই বেশ পছন্দের। পেয়ারার উপকারিতা কথা জানলে, প্রতিদিন ফলের তালিকায় একটি পেয়ারা অবশ্যই রাখবেন। পেয়ারার উপকারিতা সম্পর্কে অনেক ফল ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞগন বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা যা বলেন:
- পেয়ারাতে ফাইবার বা আঁশ এবং গ্লাইসেমিক রযেছে। এছাড়া ফাইবার এবং আঁশ থাকার কারণে পেয়ারা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়
• পেয়ারা ডায়াবেটিস রোগীদের পক্ষেও অত্যন্ত উপকারি
• কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ নিযন্ত্রণ করে
• দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং চোখের ছানিপড়া রোধ করে
• হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়
• গর্ভবতী নারীদের জন্যও বিশেষভাবে উপকারি
• খাবারের রুচি বাড়াতেও খেতে পারেন পেয়ারা।
১। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ
পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন সি শরীরে গেলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাতে শরীর রোগ প্রতিরোধে সক্ষম হয়ে ওঠে।
২. ডায়াবেটিস রোধে
পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এই ফাইবার ব্লাড সুগার কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত পেয়ারা খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।
৩। রক্তচাপ কমায়
পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি শরীরের অতিরিক্ত রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে ও রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখে।
৪। পরিস্কার করে
পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি রয়েছে। এর ফলে রক্ত পরিষ্কার হয় ও ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়। এছাড়াও লাইকোপিনের সাহায্যে গালে গোলাপী আভা ফুটে ওঠে।
৫। ক্যান্সার প্রতিরোধী
ক্যান্সার প্রতিরোধেও পেয়ারা কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লাইকোপিন, ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারে। নির্দিষ্ট করে বললে, প্রোস্টেট ক্যান্সার আর স্তন ক্যান্সারের জন্য পেয়ারা উপকারী। মেদ বা ওজন কমাতে বেশি বেশি ফাইবারযুক্ত বা অধিক তন্তুযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। ১০০ গ্রাম পেয়ারায় মাত্র ৮ দশমিক ৯২ গ্রাম চিনি থাকে। তাই ওজন কমাতে চাইলে বিকেলের খাবারে ভাজাপোড়া বাদ দিয়ে যোগ করে ফেলুন পেয়ারা।
পেয়ারার উপকারিতা ও স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রতিটি মানুষের ফলের তালিকায় নাম থাকা দরকার। আমাদের শরীরে নানা রোগ প্রতিরোধ করে দেহে ইমিউনিটি সিস্টেম বৃদ্ধি করে থাকে।
Discussion about this post