বাংলাদেশে অনেক মানুষ নাশপাতি ফলকে আপেলের সাথে তুলনা করে থাকে। আপেলের যা যা উপকারি উপাদান রয়েছে। নাশপাতিতে একই উপাদান বিদ্যমান। এই ধারনা কিছুইটা ভূল। সব ফলে সমান ভিটামিন থাকে না। এই ফলের চাষ চীনে সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। সারা বিশ্বে মোট ২২,৭৩১,০৮৭ টন নাশপাতি চাষ হয়ে থাকে যা দিয়ে সারা বিশ্বের মানুষ তাদের চাহিদা পূরন করে থাকে। এই ফলের ৮৪% পানি দ্বারা পূর্ণ থাকে যার মধ্যে প্রায় সব অংশই ভিটামিন দ্বারা সম্পর্কযুক্ত থাকে। আপেলে যে পরিমান ভিটামিন থাকে এবং যে কাজ করে নাশপাতি ফলে একই ভিটামিন বা উপকারি উপাদান পাওয়া যায় না।
১০+ নাশপাতি ফলের উপকারিতাঃ
নাশপাতি ফলে রয়েছে অনেক উপকারি উপাদান যা মানুষের শরীরে অনেক রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। নিচে নাশপাতি ফলের উপকারি দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ
১। নাশপাতি ফলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি-২, বি, ভিটামিন-ই, ক্যালসিয়াম, আয়রনসহ নানা ধরনের উপকারিতা যা মহিলা ও পুরুষের অনেক উপকার করে থাকে।
২। বর্তমান সময়ে দাঁতের মাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ার অনেক প্রবনতা দেখা দেয়। নাশপাতি ফলের রসের সাথে সামান্য পরিমান ফিটকিরি মিশিয়ে সকালে দাঁতের মাড়িতে লাগালে ক্ষয় পূরন হতে সহায়তা করে।
৩। মেয়েদের অনেক সময় মাসিকের অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। এই ধরনের সমস্যার সময় যদি কেউ নাশপাতি ফল খেয়ে থাকে তবে তার মাসিকের তেমন কোন সমস্যা হয় না।
৪। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূরীকরণে এই ফলের অনেক উপকারি রয়েছে। এই কারনে প্রতিদিন খাওয়ার পর সামান্য পরিমান এই ধরনের ফল আহার করলে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সমস্যা আর থাকে না।
৫। উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট এর্টাক প্রতিরোধে এই ফলের ভূমিকা রয়েছে অনেক।
৬। খুশকি ও চুলের যত্ন নিতে এই ফলের অনেক কদর রয়েছে।
৭। নাশিপাতির সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয় ডায়াবেটিস রোগি। রক্তে শর্করার পরিমান হ্রাস করে থাকে।
৮। বর্তমানে নামিদামি দোকানগুলোতে নাশপাতির রস বিক্রি করে থাকে যা মানুষের দেহের ভিটামিনজনিত অনেক সমস্যা দূর করে থাকে।
৯। হাড়ের জন্য সবচেয়ে উপকারি ভিটামিন-কে। নাশপাতিতে এই ভিটামিন উপস্থিত থাকার কারনে হাড়ের ক্ষয়রোধ করে থাকে।
১০। নাশপাতিতে অধিক পরিমানে মিনারেল থাকার কারনে মানুষের শরীরে ক্যালসিয়ামের জোগান দিয়ে থাকে।
শেষকথাঃ
মানুষের শরীরে সবগুলো পুষ্টি জোগান দেয়ার জন্য নাশপাতি ফলের অনেক ভুমিকা রয়েছে। বিশেষ করে যারা বৃদ্ধ হয়েছে এবং নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ করার দরকার হয় তখন তাদের স্বাভাবিক চিকিৎসার পাশাপাশি এই ফল খাওয়ার পর সামান্য পরিমান আহার করলে জীবন থেকে অনেক ধরনের রোগ মুক্ত হতে সহায়তা করে থাকে।
Discussion about this post