ত্বকে ব্রন হলে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকে। ত্বকে ব্রন হলে করনীয় অনেক বিষয় থাকে। সেই সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। যেসব ক্রিমে তৈলাক্ত উপাদান থাকে ও মুখে ব্রন বেশি থাকে তাদের সেই সব ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করা যাবে না। ব্রনের সৃষ্টি হয় রোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে গেলে। তৈলাক্ত ঘাম জমা হয়ে ব্রনের সৃষ্টি করে। অনেকে অনেক কসমেটিকস বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ঠ হয়ে তা ব্যবহারও করে থাকে। দেখা যায় এসব কসমেটিকস প্রকৃতপক্ষে বাড়িয়ে তুলছে ব্রনের তীব্রতা। ১৩-১৮ বছর সকল তরুন-তরুনীর ব্রনের প্রার্দুভাব দেখা যায়। তাই ব্রনের সামান্য লক্ষন দেখা দিলে নিজের কাজ গুলো শুরু করুন।
ত্বকে ব্রন হলে করনীয়
- দিনে ৩/৪ বার জল দ্বারা বা সাধারন সাবান দিয়ে মুখ ধুবেন।
- ব্রনে হাত লাগানো যাবে না।
- ওয়াটার বেসড মেক-আপ ব্যবহার করা।
- মাথা খুশকিমুক্ত রাখতে হবে।
- প্রিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং নিজের আলা দা তোয়ালে ব্যবহার করুন।
- রাতে ঠিকমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
- মানসিকচাপ পরিহার করুন
- প্রচুর পরিমান ফল, সতেজ সবজি খান, প্রচুর পরিমানে জল পান করুন।
- রোদের মধ্যে যাবেন না।
- তেলযুক্ত ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করবেন না। ব্রনে হাত দিয়ে খুঁটবেন না।
- চুলে তেল দেয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যেন মুখটাও তেলতেলে না হয়ে যায়।
- অতিরিক্ত তেল, ঘি, মসলা জাতীয় খাবার খাবেন না।
- বাইরে থেকে বাসায় আসলে সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে ভালভাবে ধৌত করতে হবে।
- সব ধরনের রাসায়নিক প্রসাধনী বর্জন করতে হবে।
- মানসিক চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।
- দীর্ঘ সময় রাত থাকার অভ্যাস থাকলে সেটা পরিবর্তন করতে হবে। রাত ১০ টার মধ্যে ঘুমিয়ে যেতে হবে ভোর-৫ টার আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
মনে রাখবেন হবে ক্রিম বা লোশন যদি তৈলাক্ত হয় তবে তা ব্রন রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না।ত্বকে ব্রন হলে করনীয় মধ্যে প্রথমেই ত্বককে ভালভাবে জানতে হবে। ত্বকের গঠন বেশ জটিল ও বিস্ময়কর ও জটিল যা সমস্ত ত্বকে ঢেকে রাখে। বাইরের পরিবেশের সাথে ত্বকের জলীয় দ্রবন ভারসাম্য রক্ষা, ভিতরের তরলের উপাদান ঠিক রাখতে পারলে ব্রনের মত রোগকে নিরাময় করা সম্ভব। ত্বকের উপরে ব্রনের লক্ষন দেখা দিলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
Discussion about this post