ইনসুলিন এক ধরনের হরমোন। ইনসুলিনের কাজ হলো রক্তের সাথে যে মনো-স্যাকাইড থাকে সেটাকে শরীরের কোষে নিয়ে যাওয়া। কোষে মাইটোকন্ড্রিয়া আছে। মাইটোকন্ড্রিয়াকে বলা হয় শক্তির ঘর। ইনসুলিন বাহক হিসাবে কাজ করে থাকে। মানবদেহে ইনসুলিন সৃষ্টি না হলে শরীরে কোন প্রকারের শক্তি উৎপন্ন হত না। রক্তের মধ্যে মন-স্যাকারাইড বৃদ্ধি পায়। ইনসুলিনের পরিমাপের উপর ভিত্তি করে ডায়াবেটিস মান নির্নয় করতে হবে। সুগারের মাত্রা থেকে সহজেই বুঝা যায় যে কোন ধরনের ডায়াবেটিস হয়েছে। টাইপ-১ ডায়াবেটিস, নাকি টাইপ-২ ডায়াবেটিস?
ইনসুলিন উৎপাদন?
দেহের অগ্ন্যাশয় থেকে নির্গত হয় ইনসুলিন। অগ্ন্যাশয় হল পরিপাক ও অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির অন্তর্ভুক্ত। অগ্ন্যাশয়ে আলফা কোষ, বিটা কোষ, ডেল্টা কোষ থাকে। অগ্ন্যাশয়ের এই সকল কোষ যথাক্রমে Glucagon, Insulin, Somatostatin অন্তঃক্ষরার উৎপাদিত হয়ে থাকে।এই ইনসুলিন হরমোন নির্গত হয় অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ থেকে। অনেকেই জানেন ইনসুলিন হরমোনের প্রধান কাজ হল রক্তে শর্করা পরিমান কমানো। যার ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে ইনসুলিন ভূমিকা পালন করে। বিটা কোষ কোন ধরনের ফাংশনালিটি নষ্ট হয়ে গেলে বিটা কোষ থেকে কোন ধরনের ইনসুলিন নির্গত হয় না। তখন রক্তে সুগারের মাত্রা বেশি পরিমানে দেখা যায়। পরে যা ডায়াবেটিস আকারে আমাদের শরীরে দেখা দেয়।
মানবদেহে ইনসুলিনের কাজ কি?
ক্ষুর্ধাত থাকলে তখন খাওয়ার দরকার হয়। কোন কিছু গ্রহন করা হয় দেহে শক্তি বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে। পাকস্থলীতে সকল কার্যক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে মনো-স্যাকারাইড হিসাবে রক্তে প্রবেশ করে। অগ্ন্যাশয়ের বিটা সেল থেকে ইনসুলিন নির্গত হয়ে মনো-স্যাকারাইড ধরে দেহের কোষে নিয়ে যায়। কোষে শক্তিঘর মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে। এই কোষে এসে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে, সুগার ও ইনসুলিন বিক্রিয়া করে শরীরে শক্তির যোগান দিয়ে থাকে। তখন দেহে আমাদের বিভিন্ন ক্ষতিপূরন থেকে বৃদ্ধি হওয়া সবকিছু সম্পূর্ণ করে থাকে। এভাবে একটা ইনসুনলিন একটা মনো-স্যাকারাইড ধরে নিয়ে কোষে নিয়ে যায়। ফলে মানবদেহে শক্তির যোগান হয়।
রক্তে সুগার বেড়ে যাওয়ার কারন?
রক্তে শর্করার পরিমান বেড়ে যাওয়া ও কমে যাওয়ার জন্য ইনসুলিন দায়ি। রক্তে প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমানে ইনসুলিন নির্গত হলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেশি দেয়া যায়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগে। শরীর দুর্বল হয়ে যায়। রক্তে শর্করার পরিমান বেড়ে যাওয়ার ইনসুনিন কোষে প্রবেশ করবে তখন কোষের মুখ বন্ধ থাকে ফলে রক্তে সেটা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। রক্তে ইনসুলিনের পরিমান বেড়ে গেলে সুগারের মাত্রা হ্রাস পায়। রক্তে সুগারের মাত্রা হ্রাস পাওয়াকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলে। রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে তাকে হাইপারগ্লেসেমিয়া বলে।
সুগার কমে যাওয়ার কারন?
অগ্ন্যাশয় থেকে বেশি পরিমান এই হরমোন নির্গত হলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে যায়। রক্তে সুগারের মাত্রা কমে গেলে তাকে হাইপো-গ্লাসেমিয়া বলে। প্রয়োজনের তুলনার অধিক পরিমানে বাইরে থেকে এই হরমোন প্রবেশ করালে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে যায়। তাই ব্যবহারের সময় ডাক্টারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে হবে। বিষয়টা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন এই গবেষনা থেকে।
মানবদেহ একটি সুনিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেহে শক্তির যোগান দিয়ে থাকে। এই শক্তি যোগানের ক্ষেত্রে এই হরমোনের ব্যবহার অপরিসীম। রক্তে উপস্থিত মনো-স্যাকারাইড ধরে নিয়ে কোষে যায়। সেখানে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা শক্তি পেয়ে থাকি।
Discussion about this post